জেনে রাখুন : কোন উপায় প্রয়োগ করলে ঘরে আর সাপ আসবে না?
সাপকে আটকানোর জন্য, অনেকেই কার্বলিক এসিড, ন্যাপথলিন, ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার, বিভিন্ন ধরনের স্নেক রিপেলেন্ট কেমিক্যাল ব্যবহার করেন।
তবে, এসব নিয়ে, বিতর্ক রয়েছে।
একটা কথা মনে রাখা দরকার, সাপ সাধারণত: পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন জায়গা এড়িয়ে যায়।
এজন্য, বাড়ী, ঘর পরিষ্কার রাখাই প্রধান কর্তব্য।
বাড়ীর চারধারে ময়লা নিকাশী ড্রেনে যাতে খাবার না ফেলা হয়, ময়লা জমে না থাকে, বাড়ীতে, ঘরে, যাতে ইট, কাঠ, পাথর, বালির বস্তা, ভাঙাচোরা জিনিষ বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্তূপ জমে না থাকে, ঘরে যাতে কোনো ফাঁক, ফোকর না থাকে, এগুলো খুবই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, এসব জায়গাকে সাপ শেল্টার পয়েন্ট বানিয়ে ফেলে।
বাড়ী, ঘর, যত বেশী নিট এন্ড ক্লিন থাকবে, ততোই সাপের আগমনের সম্ভাবনা কমে যাবে।
রাত্রিবেলা মশারী খাটিয়ে শুতে হবে।
সাপের উপদ্রব আছে, এমন জায়গায় বাড়ী হলে, খুবই সাবধান থাকা দরকার, রাত্রিবেলা অন্ধকারে টর্চ, আলো, ছাড়া চলাচল করা ঠিক হবে না।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাড়ীর কাছাকাছি কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে এন্টি-ভেনম সিরাম মজুত থাকে, সেটা নিজের জেনে রাখা দরকার। নিজের না হলে ও অন্যের প্রয়োজনে তো কাজে লাগবে। আর, যাঁরা সাপ ধরেন, (স্নেক কেচার) তাঁদের কন্টাক্ট নম্বর ও হাতের কাছে রাখা দরকার।
সর্প দংশনের মতো ঘটনায়, যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে, কোনো শর্তেই ওঝা, ঝাঁড়ফুক এসবের চিন্তা মাথায়ই আনা যাবে না।
প্রচন্ড সর্পভীতি আমার, সাপ দেখলেই, আমি অসুস্থ বোধ করি।
কিন্তু, পেশাগত কারণেই, সর্প অধ্যুষিত অঞ্চলেই আমাকে থাকতে হয় কিছু দিন, সেটা আসামের প্রত্যন্ত একটা অঞ্চলে। বিছানায় সাপ, বাথরুমে সাপ, তারে ঝুলানো গামছায় হাত দিয়ে মনে হলো, ভেতরে কিছু একটা আছে, ভেতরে সাপ।
ওখানে আমার সহকর্মী যাঁরা অনেকদিন ধরে আছেন, তাঁরা এই ব্যাপারটার সাথে ধাতস্থ হয়ে গেছেন। তাঁরা ও খুব এলার্ট থাকেন, আমাকেও বারে বারেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
যাই হোক, প্রতি মুহুর্তে এই আতঙ্ক নিয়ে, কোনমতে ডেপুটেশন পিরিয়ড শেষ করে চলে আসি।
কিন্তু, চলে এসে ও রাত্রে ঘুমাতে পারিনি অনেকদিন, চোখ বুজলেই, ওসব দেখি।
তবে, প্রতি পদে, পদে, সতর্ক ছিলাম।
সুতরাং, সতর্কতা খুবই প্রয়োজন।
সাপ নিজে থেকে সাধারণত: আক্রমণ করে না।
নিজের অসতর্কতার জন্য সাপ আঘাত প্রাপ্ত হলে, জবাব দিয়ে দিতে পারে ‘ছোবলে’।