নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তারুণ্যের সাইকেল মার্চ অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী : নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘তরুণ প্রজন্মের একতায় গড়বো সমাজ সমতায়’ শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তারুণ্যের সাইকেল মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মুজিব চত্বর নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মার্চটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুবর্ণচর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে সাইকেল মার্চ করে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন সাইকেল চালিয়ে মার্চের উদ্বোধন করেন। নোয়াখালীতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তারুণ্যের সাইকেল মার্চ সমতায় যাত্রায় নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থী, অ্যাক্টিভিস্ট, যুব সংগঠনের প্রতিনিধি ও সদস্যসহ দেড় শতাধিক তরুণতরুণী অংশগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে ধর্ষণ, খুন, অতর্কিত হামলা ইত্যাদি নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সাইকেল মার্চে অংশগ্রহণকারীরা নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ, বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং ঘরে-বাইরে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ প্রচারণার অংশ হিসেবে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক –প্রান, প্রথম আলো বন্ধুসভা, নোয়াখালী জেলা স্কাউট এবং একশানএইড বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে ইউএনএফপি-এর সহায়তায় এই সাইকেল মার্চটি আয়োজিত হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন সাইকেল মার্চে অংশ নেয়।
মার্চের উদ্বোধন করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, তরুণদের এই সাইকেল মার্চ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে। সকল মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি সমতার সমাজ গড়ে উঠবে।
সাইকেল মার্চের সমাপনী জমায়েতে বক্তব্য রাখেন নারী অধিকার জোটের সদস্য আবদুল আউয়াল, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রানের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ, এসএইচওর সাধারণ সম্পাদক ফাহিদা সুলতানা, প্রথমআলো বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সুমন নুর প্রমুখ। বক্তারা, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, সিডো সনদে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ; তদন্তকালে ভুক্তভোগীকে মানসিক নিপীড়ন-হয়রানি বন্ধ করা এবং তাঁর আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধবিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অনিষ্পন্ন সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানায়।