প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের বিমার দাবি পূরণে গড়িমসি
স্টাফ রিপোর্টার : প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিমার টাকা পেতে গ্রাহকদেরকে হয়রানি,গড়িমসি ও চরম অনীহার অভিযোগ উঠেছে।ভূক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের নোয়াখালীর মাইজদি বাজার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বিমা দলিলের ছায়াকপি জমা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে গ্রাহকের সাক্ষর নেন।দেড় মাস পর বুধবার (১ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুঠোফোনে বিমার টাকা পাওয়ার ব্যপারে অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি (জেনারেল ম্যানাজার মো. নজরুল ইসলাম)গ্রাহককে বলেন,‘ পাঁচ মিনিট পর আপনাকে ফোন দিচ্ছি’। সারা দিনও তিনি গ্রাহককে ফোন দেননি।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দে গ্রাহক বিমার দলিল নিয়ে এ কার্যালয়ে গেলে কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. নোমান বলেন, ‘আপনার পলিসি তামাদি হয়ে গেছে,আপনি টাকা পাবেন না’। পরে গ্রাহক নিজেকে সাংবাদিক (প্রতিনিধি, দৈনিক দেশ রূপান্তর) এবং তার সঙ্গীকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় পরিচয় দেওয়ায় একই কার্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা (বর্তমানে জেলার চৌমুহনী কার্যালয়ে কর্মরত) মো.শামীম গ্রাহকের সাহায্যে এগিয়ে আসেন।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক প্রথম আলোর হাতিয়া প্রতিনিধি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মানিক মজুমদার তার মেয়ে কাহিনি মজুমদারের( বর্তমানে চট্টগ্রামের নিজামপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত) নামে প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে একটি শিক্ষা বিমা( পলিসি নং ০২০৯০০৮৮৯-৫) করেন। ২০১৭ খিষ্টাব্দে পলিসিটির শেষ প্রিমিয়াম জমা দেওয়া হয়।কাহিনি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পাস করে। সে নয় বছর বৃত্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পাওয়া গেছে প্রথম বছরের(দশম শ্রেণি) ১২ হাজার টাকা।