সন্দ্বীপে টানা বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন, ঝুঁকির মূখে বেড়িবাঁধ
মুকতাদের আজাদ খান : গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সন্দ্বীপের বেশীরভাগ এলাকায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মাণ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে খালের পানি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতার ফলে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এছাড়া বেড়িাবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট দুর্বল হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকির মুখে এখানকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বর্ষণের ফলে সন্দ্বীপ পৌরসভা ও সব কয়টি ইউনিয়নের বেশীরভাগ স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রহমতপুর, হরিশপুর, সারিকাইত, কালাপানিয়া, মগধরা, হারামিয়া, বাউরিয়া, মুছাপুর ও সন্দ্বীপ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ফসলী জমি, রাস্তাঘাট এবং কোথাও কোথাও বাড়ি-ঘরও পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এ সমস্ত এলাকায় গত দু’তিন দিন ধরে মারাত্মক দূর্ভোগের মাঝে সময় কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন স্থানে মৎস্য চাষীদের পুকুরগুলো ভেসে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লিপটন সর্দার এই প্রতিবেদককে জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্য খামারগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন, ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব চলছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দ্বীপের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর গ্রীষ্মকাীন সবজি ও আউশের চারা এখন পানির নিচে।
এছাড়া রহমতপুর, মগধরা-সারিকাইত সীমান্তে, কালাপানিয়া চৌধুরী বাড়ি ও পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড পয়েন্টে বেড়িবাঁধ মারাত্মকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে। সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশ্রাফ উল্যাহ আসিফ জানান, অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মাণ ছাড়াও বিভিন্ন খালে প্রভাশশালীরা বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করায় ভয়াবহ লাবদ্ধতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বাঁধ অনতিবিলম্বে কেটে জলাবদ্ধতা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই ব্যাপারে সাংসদ আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান মিতা জানান, বিভিন্ন এলাকার ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা তৈরী হচ্ছে। মঙ্গলবারে অুনষ্ঠিতব্য উপজেলা সমন্বয় সভায় এ সমস্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। পানি উন্ন্য়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের রেড়িবাঁধের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।