নোয়াখালীর সরকারি হাই স্কুলে ১৩৯ শিক্ষক পদশূন্য
জেলার বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সেনবাগ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হাতিয়া ওছখালী কেএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে র্দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার ১২টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩১২ জন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মরত আছে ১৭৩ জন। পদশূন্য রয়েছে ১৩৯টি। ১২টি প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছে ৭ জন। চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে ৫জন। পাঁচগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন সহকারী শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছে ১২ জন।
বেগমগঞ্জ সরকারী পাইলট স্কুলে ২৭জন সহকারী শিক্ষক পদে রয়েছে ১৭জন। বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল সরকারি হাই স্কুলের ২৯ জন সহকারী শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত আছে ১৮ জন।
সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩ জন সহকারী শিক্ষকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন ৮ জন। সেনবাগ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭ জন সহকারী শিক্ষকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন ৬ জন।
কোম্পানীগঞ্জ মাকছুদা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন। বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন।
হাতিয়া ওছখালী কেএসএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে কর্মতর রয়েছে ১২ জন, হাতিয়া শহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন সরকারী শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছে ১৩ জন।
নোয়াখালী জিলা স্কুলে ৫৩ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত রয়েছে ৪৫ জন। নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৩ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৪৩ জন কর্মরত রয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ে উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান চলছে।
নোয়াখালী জেল শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জানান, জেলার ১২টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে র্দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় নিয়োগের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।