গল্প : তোমায় গান শুনাবো (পর্বঃ ৬)

Sunday, February 19, 2023

 


শারমিন আকতার রানা


একদিন ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরে দেখি ছোট কাকা এসেছেন বেড়াতে। কথায় কথায় উনি মাকে বললেন, জিহানের তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। পাত্রী ওর মায়ের বিশেষ পছন্দের। জিহান কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না বলে ওর মা ওকে দিব্যি দিয়েছে। আপনিতো জানেন ভাবি,জিহান তার মায়ের অবাধ্য কখনোই ছিল না।তাই একটু অবাক হয়েছিলাম। আমার দুই কানের ভিতরে হঠাৎ শোঁ শোঁ আওয়াজ করতে লাগলো।কেমন যেন দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে রুমে চলে এলাম।এরপরের কিছুই আজ আর স্মরণ করতে পারিনা। সব কেমন ধোঁয়াশা আবছা আচ্ছাদনে আচ্ছন্ন। আমার স্বপ্ন,ভালোবাসা,প্রতিরাতের প্রতিক্ষা সব এক নিমিষেই চুরমার হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বিধ্বস্ত হৃদয়ের ভাঙনের ছলাৎছলাৎ নিয়েই রুমে পড়ে রইলাম। কতোবার যে কোলবালিশটা ভিজে চুপ চুপে হয়ে গেছে হিসাব নেই। এতোটা বছর না দেখেও জিহানকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছিলাম । এখন আমার স্বপ্ন দেখাও বারণ। কি নিয়ে থাকব আমি?? তার উপর সবাই কি হয়েছে বুঝতে না পারলে আমার যে কিছু একটা হয়েছে তা অনুমান করে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল।সবকিছু মিলিয়ে বাসাটাকেও একসময় অসহ্য মনে হওয়ায় ভার্সিটিতে গিয়ে লাইব্রেরীর সিঁড়িতে বসে রইলাম চুপচাপ। এমনিতেই আমি ভীষণ মিশুক প্রকৃতির।তার উপর চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির চোখ জুড়ানো প্রকৃতি সারাটা বছর ধরে পাহাড়ি বালিকার মতো মিষ্টিসাজে সেজে থাকে।

এজন্যই এই ক্যাম্পাসে গম্ভীর টাইপের ছেলেমেয়েগুলোও উচ্ছ্বল হয়ে উঠতে সময় নেয় না। বাসার গুমোট পরিবেশ থেকে এখানে প্রকৃতির কাছাকাছি বসে নিজেকে কিছুটা হলেও হালকা মনে হচ্ছে। হঠাৎ রিফতি এসে আমার পাশে বসে বললো,কোথায় ডুব মেরেছিলে?কি হয়েছে তোমার? চেহারার এই অবস্থা কেন? আমি মুচকি হেসে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেলাম। রিফতি কি বুঝলো জানিনা তবে টুক করে একটি ছোট প্যাকেট আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,এতে আইয়ুব বাচ্চুর ক্যাসেট আছে। কয়েকদিন আগে ক্যাসেটটি কিনে যখন শুনতে বসলাম তখন মনে হলো, গানের কথামালা আমার মনের অব্যক্ত কষ্টগুলো দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে। পুরুষ মানুষের যে কাঁদতে নেই তাও বিস্মৃত হলাম।তোমাকে গানগুলো শুনানোর জন্য কেমন অস্থির হয়ে উঠলাম।তাই তোমার জন্য ক্যাসেটটি কিনে গত কয়েকদিন বয়ে বেড়াচ্ছি। প্লিজ না করোনা।রিফতির চোখের আকুতিকে অসম্মান করে ওকে ফিরিয়ে দিতে পারলাম না।

বাসায় ফিরে ক্যাসেটটা টেবিলে ফেলে রাখলাম।একসময় ভুলে ও গেলাম। রাতে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন টেবিলের উপর ক্যাসেটটির উপর নজর পড়তেই তা চালিয়ে দিলাম,,,, কোন সুখের ছোঁয়া পেতে নয়,, নয় কোন নতুন জীবনের খোঁজে ,, তোমার চোখে তাকিয়ে থাকা,, আলোকিত হাসি নয়,, আশা নয়,, না বলা ভাষা নয়,, আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি,, তাই তোমার কাছে ছুটে আসি। বুকের এক পাশে রেখেছি,, জলহীন মরুভূমি,, ইচ্ছে হলে যখন তখন,, অশ্রুফোঁটা দাও তুমি,, ,,,,,, ,,,,, ,,,,,,,,,, ,,,,,,,,,,।।। গানগুলো যেন গান নয়, কষ্টের ফোঁটা হয়ে দুচোখ বেয়ে ঝরে পড়তে লাগল। রিফতির আকুতি কিংবা ভালোবাসা না পাওয়ার বেদনার অশ্রুমালা আজ যেন স্পষ্টই অনুভব করতে পারলাম।আজ মনে হলো, গত কয়েক বছর যাবত এই চেনা মানুষটিই আমার কতো অচেনা ছিল। আইয়ুব বাচ্চুর গানই আমার জীবনের নতুন বাঁক সৃষ্টি করে দিল।পরদিন আলমারি ঘেঁটে অনেক গুলো জামাকাপড় উল্টে পাল্টে দফারফা করে মিষ্টি কালারের একটি ড্রেস গায়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাচিং লিপস্টিক ঠোঁটে বুলিয়ে নিলাম। ছোট বেলা থেকেই লিপস্টিক লাগাতে অনেক ভালোবাসি।ভার্সিটিতে রিফতির সাথে দেখা হতেই সে চোখের তারা দিয়ে হেসে আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যে মনে হচ্ছিল আমার ভিতর টা পড়ে ফেলেছে। এরপর আমার আর রিফতির নতুন জোয়ারে ভাসতে সময় লাগেনি।

রিফতি ছিল খুবই খোদা ভীরু। আমার প্রেমে হাবুডুবু খেলেও সে সবসময় নিজেকে সংযত রাখত। আমি ওর সাথে দেখা হলেই গল্পের ঝুড়ি খুলে বসতাম আর ও মনোযোগী শ্রোতা হয়ে শুনতো আর মিটিমিটি হাসতো। ওর মনভুলানো হাসির প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেলেও দিন শেষে নিশুতি রাতে মাঝে মাঝেই বুকের ভিতরে হাহাকারের ঝড় বয়ে যেত। জিহানকে বোধ হয় এই জীবনে ভোলা সম্ভব না। আবার দিনের আলোয় রিফতির সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো ও আমার জন্য সমান গুরুত্ববহ হয়ে উঠলো।একদিন রিফতি বললো, আমাদের বিয়ে করে ফেলা উচিত। আমি বললাম, আমাদের তো এখনো পড়াশোনায় শেষ হয়নি।এই অবস্থায় বিয়ের প্রসঙ্গ হাস্যকর না।রিফতি বললো,ইসলামে বিয়ের আগে মেলামেশায় নিষেধ আছে। সেজন্যই,,,।আমি বললাম, কেউ তো এই বিয়েতে রাজি হওয়ার কথা না।রিফতি পাল্টা বলল, আমরা একটা কাজ করতে পারি। গোপনে কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলি।এরপর পড়াশোনা শেষে যখন চাকরি হবে তখন দুজন দুজনের পারিবারকে বলবো।আমার মনে হয় তখন কেউ আপত্তি করবে না।তোমার মতামত কি গুল? আমি এমনিতেই কয়েক দিন আগে খবর পেয়েছি জিহানের বিয়ে হয়ে গেছে। সেই জ্বলুনিতে রিফতির কথাটা বরফ শীতল পানির কাজ করলো।তৎক্ষনাৎ রাজি হয়ে গেলাম। এরপর দুজন মিলে আদালত পাড়াতে গিয়ে আমাদের এক বন্ধুর পরিচিত আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করলাম এবং প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলাম। মনে হচ্ছিল আমরা একদিনেই অনেকটা বড় হয়ে গেছি।দুজন মিলে একটু মার্কেটিং ও করলাম।মার্কেট থেকে বের হওয়ার সময়

রিফতি বললো, তোমার কাছে টাকা আছে গুল?

আমি হেসে বললাম, মার্কেটিং তো শেষ। এখন আবার টাকা দিয়ে কি করবে?

রিফতিঃ একটু দরকার ছিল গুল।

গুলঃ(হেসে)না বললে আমি দিবোনা।

রিফতিঃ তোমার জন্য একটা গিফট কিনবো।

গুলঃ হা হা।আমার টাকা দিয়ে আমার জন্য গিফট কিনবে। দারুণ আইডিয়া। কি কিনবে ঠিক করেছো?

রিফতিঃ ফুল কিনবো।বিয়ের সময় তোমার দীঘল চুলে ফুল গুলো দোল খাবে।

গুলঃ (মুচকি হেসে) তুমি কবে থেকে এতো রোমান্টিক হয়ে উঠলে?আমার বাতাসে মনে হয় তোমাকে ও ধরেছে। তারচেয়ে তুমি এককাজ কর।আমাকে একটা প্লাস্টিকের ফুল গিফট কর।সেই ফুলটা পরে স্মৃতি হিসাবে রেখে দেয়া যাবে।

রিফতি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সত্যি একটা প্লাস্টিকের ফুল কিনলো।মনের ভিতরে দুজনেরই রিনিঝিনি ছন্দ বাজতে লাগলো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে যথাসময়ে সাজুগুজু করে রেশমীচুলে প্লাস্টিকের ফুল গুঁজে আমাদের বিয়ে সুসম্পন্ন হয়ে গেল আর বিয়েতে আমাদের বন্ধুরাই সাক্ষী দিল।কাগজে কলমে আমাদের নতুন জীবন শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে বিয়ের পরে আমরা যে যার বাসায় ফিরে গেলাম।

 টুংটাং শব্দে তনুমনে শিহরণ বয়ে গেল।প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিক্ষায় থাকি কখন মিষ্টিমধুর এই টুংটাং শব্দটি বাজবে।

জিহানঃগুল,,,গুল,,,গুল আমার। এতোক্ষণ শুয়ে শুয়ে গান শুনছিলাম আর মানসপটে তুমি ভাসছিলে। যদি মন কাঁদে তবে চলে এসো,, চলে এসো,, এক বরষায়।

গুলঃ এতো আমাদেরই গান। অঝোরে শুধু ঝরেই যাব,, কাছে যাওয়া কিংবা পাওয়াটা অধরাই থেকে যাবে। একজনমের অব্যক্ত রক্ত ক্ষরণের সাক্ষী হয়ে থাকবে চন্দ্র, তারা,,,

জিহানঃ কাছে পেলেই কি সব প্রাপ্তি পূর্ণতায় রূপ নেয়? দেখা হলেই সর্বনাশা মায়ায় জড়িয়ে কষ্টই শুধু বাড়বে গুল। জানোতো, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরে ও ঠেলে দেয়।

গুলঃ তবে কি বিরহ মানুষের ভালোবাসাকে মজবুত করে? কোনটাই সুখ?? পাওয়াতে নাকি না পাওয়াতে? আমি কেন অহর্নিশি জ্বলে পুড়ে মরছি?

জিহানঃ Platonic love. না দেখে, না ছুঁয়ে, মর্তলোকে যে ভালোবাসার জন্ম হয়, সেই ভালোবাসাটাই কষ্টিপাথরে যাচাই করা নিখুঁত,পবিত্র ভালোবাসা। জানতো গুল, এই ভালোবাসার কোন বিচ্ছেদ নেই বরং শ্রদ্ধা থেকে যায় আমৃত্যু।

গুলঃ হুম।আমৃত্যু বয়ে যেতে হয় সমান্তরালে। আবার মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু জিহান সোনা, মনতো অবুঝ হয়ে উঠে বারবার,, সহে না যাতনা,, দিবস গুনিয়া গুনিয়া বিরলে,, নিশিদিন বসে আছি,, শুধু পথ পানে চেয়ে,, জানো জিহান, আমার কষ্টগুলো কবি গুরু কী করে যেন অবিকল তার গানগুলোর মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই হৃদয়ের ভাষাগুলো ব্যক্ত করার জন্য কথার শব্দমালা হাতড়াতে হয় না।

জিহানঃএকদিন মানুষের মুখে মুখে থাকবে আমাদের বিরহের কাহিনী। ঠিকই বলেছ গুল।কবিগুরু আমাদের অব্যক্ত কষ্টগুলোকে ভাষা দিয়েছেন। প্রেমের কষ্টিপাথরে না পুড়লে বুঝি এমন সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব হতো না।তাই হয়তো কবিগুরু নিজেই বিরহী পাখি ছিলেন।কাদম্বরী দেবী ছিলেন উনার সৃষ্টির রসের ধারক।

গুলঃ হুম। কবিগুরুতো ভাষায় প্রকাশ করে হালকা হয়েছিলেন কিন্তু কাদম্বরী দেবীর কষ্টগুলো আমি নিজেকে দিয়েই উপলব্ধি করতে পারি।আঃ কী হৃদয় নিঙড়ানো অসহ্য জ্বলুনি! জিহান,,জিহান,, এতো কষ্ট কেন ভালোবেসে?

জিহানঃ আমি তো আছি গুল সোনা। তোমার কষ্ট গুলোকে হয়তো কমাতে পারবো না কিন্তু ভালোবাসার প্রলেপতো দিতে পারবো। ভারতী পত্রিকায় কাদম্বরী দেবীকে ইঙ্গিত করে একটি লেখা ছাপিয়েছিলেন কবিগুরু। সেই লেখাটিই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল রবীন্দ্র প্রেমের ক্ষেত্রে। ঠাকুর বাড়িতে আগুন জ্বলে উঠেছিল রীতিমতো।

গুলঃভারতীতে কি লিখেছিল?জানতে খুব ইচ্ছা করছে।

জিহানঃ সেই জানালার ধারটি মনে পড়ে, সেই বাগানের গাছগুলি মনে পড়ে, সেই অশ্রুজলে সিক্ত আমার প্রাণের ভাবগুলিকে মনে পড়ে। আর একজন যে আমার পাশে দাঁড়াইয়া ছিল, তাহাকে মনে পড়ে, সে যে আমার খাতায় আমার কবিতার পার্শ্বে হিবিজিবি কাটিয়া দিয়াছিল,সেইটে দেখিয়া আমার চোখে জল আসে। সেই তো যথার্থ কবিতা লিখিয়াছিল।তাহার সে অর্থ পূর্ণ হিজিবিজি ছাপা হইল না,আর আমার রচিত গোটাকতক অর্থহীন হিবিজিবি ছাপা হইয়া গেল। গুল তোমার জন্য ভারতি পত্রিকার লেখাটা কষ্ট করে লিখেই ফেললাম।

গুলঃ অথৈ দীঘির পানির মতোই কথাগুলোর গভীরতা। বুকের ভিতরে গিয়ে বাজে। আমি সুনীলের ‘প্রথম আলো’ বইটিতে কাদম্বরী দেবী আর রবিঠাকুরের কাহিনী পড়ে কেঁদে ভাসিয়েছিলাম।এতো আবেগীয় লেখা ছিল।

জিহানঃ হুম। Platonic ভালোবাসার কথা পড়তে সবার কাছেই ভালো লাগে কিন্তু অনেক কষ্টের,বেদনার।

গুলঃ আমি এতো কষ্ট সইতে পারছিনা। ভালোবাসার সমুদ্রে হাবুডুবু খেয়ে মরলেও বুকটা জুড়াতো।

জিহানঃ তোমার কষ্ট গুলো যে আমার বুকে হাতুড়ি পেটা করে। কেন সব পেয়েও শূন্যে খাবি খেতে হয়? কেন বুকের সাথে জড়িয়ে তোমার সব কষ্ট গুলোকে আমার করে নিতে পারিনা?

গুলঃ সত্যি বলছি, নিজেকে সংযত করতে চেয়েও কেন যেন বারবার হেরে যাই,, নিজের মনের কাছে জবাবের আশায়,, মাথা খুড়ে মরি,, সব বাস্তবতা গুলোকে পিছনে ফেলে,, ইচ্ছা করে মুখোমুখি হতে,, একটু আলতো করে হাত ছুঁয়ে দিতে,,

জিহানঃ আমাদের মন আর চোখই হলো সবচেয়ে মধুর প্রতারক। এতোগুলো বছর পেরিয়ে ও তো ঐ চোখদুটো আজো আমাকে আবেশে জড়িয়ে রাখে। গ্যাটে যেন আমার মনের কথা গুলো কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। One glance, One word from you Gives more pleasure Then all the wisdom of this world.

গুলঃ তোমাকে এতটা মনের কাছাকাছি পেয়েও কেন এতো কষ্ট? বেশি ভালোবাসার,সংসারের কাঙাল ছিলাম বলেই হয়তো সব আমাকে ছেড়ে গেছে। কি সুন্দর করে সব সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতাম, সবার খেয়াল রাখতে ও কসুর করিনি, ফিটফাট থাকতে খুবই ভালো লাগে। তবু কেন আমার হৃদয়ে অবারিত ধারায় বৃষ্টি ঝরার আগেই তীব্র দহনের তাপে শুকিয়ে যায়? তোমার ট্রেনে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের শাহরুখের মতো তুলে নিতে পারবে না?

জিহানঃ কি করা যায় that’s different thing. But যেটা সত্যি সেটা হচ্ছে we missed train to reach same destination,,,, আহারে! জীবন,,, একই গন্তব্যে যাওয়ার ট্রেন মিস করেছি।

গুলঃ হুম।তুমি আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দিবে? কতটা কাল ভালো করে ঘুমাই না।

জিহানঃ আমি তোমার চুলে বিলিকেটে দিচ্ছি। তুমি ঘুমিয়ে পড় নিশ্চিন্তে আমারি স্বপ্ন বুকে নিয়ে।

গুলঃ একটু আদর করোনা।

জিহানঃ করেছিতো গুল।তুমি টের পাওনি?দুষ্টু একটা।আর কথা বলোনা।মজার মজার স্বপ্ন তোমার ঘুমন্ত চোখ জুড়ে ভেসে বেড়াক। আমার আঙুলগুলো তোমার রেশমি চুলে আদুরে স্পর্শ বুলিয়ে দিচ্ছে। ভালো থেকো গুল।আমাকেও তোমার স্বপ্ন, চেতনায় রেখো গুল।


লঞ্চ মালিকদের অতি লোভে দুর্ভোগের শিকার হাতিয়ার যাত্রীরা

যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা, ইয়াবাসহ প্রধান আসামি গ্রেফতার

পাতা কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু

হাতিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্ত্রীর ওপর অভিমান করে প্রবাসীর আত্মহত্যা

‘খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এর হিসাব কড়া-গন্ডায় সরকারকে দিতে হবে’

হাতিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন ইউএনও

নোয়াখালীতে ওয়ান শুটার গানসহ ২ তরুণ গ্রেফতার

হাতিয়ায় বিদ্যুৎ ভবন উদ্বোধন করলেন স্থানীয় এমপি

হাতিয়ায় স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

হাতিয়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

পকেটে মিলল গুলি, শয়ন কক্ষে ওয়ান শুটারগান, গ্রেফতার ৩

আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই : মির্জা ফখরুল

এই সম্পর্কিত আরো