বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬ শূন্য আসনে উপনির্বাচন কাল
ঢাকা : বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ৬টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি)। আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। এসব আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে লড়বেন ৪০ জন। এরমধ্যে ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকি ২৩ জন ১০টি রাজনৈতিক দলের। আসনগুলোতে মোট ভোটার ২২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে। সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৯ জন। ভোট কেন্দ্র ১১২টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪শ ৬৯ জন। বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১১ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি। আর ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৬ জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র ১৮০টি। ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩ জন। এখানে ভোটকেন্দ্র ১৭২টি, মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৯৫ জন। ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৫ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩২টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৬জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র ১২৮টি আর ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭শ’ ৪১ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের ভোট বুধবার। এখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের সন্ধান মেলেনি। তার অনুপস্থিতে স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে চলছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরীন জানান, তিনি স্বামীর সন্ধান পেতে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিৎ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও স্থানীয় প্রেস ক্লাবে এ দরখাস্তের অনুলিপি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ই-মেইলে এ দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে মঙ্গলবার বিকাল প্রায় ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. শাহগীর আলম দরখাস্ত প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন।
দরখাস্তে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরীন বলেন, প্রচারণার ক্ষেত্রেও আমরা কোন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাইনি। ভোট কেন্দ্রে যাদেরকে এজেন্ট দেব তাদেরকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রার্থীকে যেভাবেই হোক জিতিয়ে নেয়া হবে বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি এত কিছুর পরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমার স্বামী আবু আসিফ আহমেদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। এমতাবস্থায় ভয়ে আমরা এ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি। কিছু সংখ্যক সংবাদকর্মী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমার বাসায় আসলে আমি তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন থেকে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করাসহ তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে আমরা জানতে পারি।
তিনি জানান, ভোটাররা ইভিএমে আঙুলের ছাপ দেয়ার পর বিশেষ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য অন্যরা প্রতীকের বাটনে চাপ দিয়ে দেবে বলে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া তিনি দরখাস্তে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পূর্ব, কুট্টাপাড়া পশ্চিম, সৈয়দটুলা গরের পাড়, হাবিসটুলা, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উচালিয়া সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে বুধবার থেকে নিখোঁজ থাকা নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান সমন্বয়ক আবু আসিফের শ্যালক শাফায়াত সুমন সোমবার রাতে বাসা ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি।
গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে তিনি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে বেড়িয়ে আর বাসায় ফেরেনি। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণাপ্রধান মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি একজন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মানুষ ও এলাকার স্বনামধন্য সালিশকারক। পরে গ্রাম্য ঝগড়ার মীমাংসিত ঘটনার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই দিন থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক আবু আসিফের শ্যালক শাফায়াত সুমনও নিখোঁজ ছিলেন।
বগুড়া ৪ ও ৬:
বগুড়ার দুই আসন বগুড়া-৬ (সদর) এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। বগুড়ার দুই আসনে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বগুড়া-৬ আসনে ১১ জন এবং বগুড়া-৪ আসনে ৯ জন।
এ আসনে ১৪৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ১ হাজার ১৭ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ৩৪ জন পোলিং অফিসার নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৭৭৭ এবং ১ হাজার ৫৫৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
বগুড়ার গোয়েন্দা শাখার সূত্র বলছে, বগুড়ার দুই আসনের ২৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৮টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ (অধিক গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে বগুড়া-৬ সদর আসনে মোট ১৪৩টির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯টি। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনেও মোট ১১২টির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৭৯টি।
দুই আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বগুড়া-৪-এর কাহালু উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলো। ওই উপজেলায় ৬৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টিই ঝুঁকিপূর্ণ। ওই আসনের নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বগুড়া-৬ সদর আসনে ১৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্র ৬৪টি। বাকি ৭৯টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ, হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থী আসনটিতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মহাজোটের শরিক দল জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ফারুক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হিরো আলম, কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, মোশফিকুর রহমান কাজলসহ ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, দুই আসনের উপনির্বাচনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি মোতায়ন থাকবে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। এছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাজ করবেন। প্রতি ভোটকেন্দ্রে গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তার জন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য ছাড়াও এপিবিএন, আনসার ভিডিপিসহ ১৭ নিরাপত্তকর্মী কাজ করবেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের স্ট্রাকিং ফোর্স ও বিজিবি সদস্যরা টহল দেবেন।
বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। তিনি ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেশি ভোটার যে কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, স¤প্রতি জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। এর ফলে আসনগুলো শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আগামী ১ ফেব্রæয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে।
ঠাকুরগাঁও–৩
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনে উপনির্বাচনে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাত পোহালেই ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। টানা চলবে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
আজ পীরগঞ্জ পৌর শহরের পীরডাঙ্গী এসআই সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ থেকে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১৪ দলীয় জোট থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ (লাঙল), জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা)।
আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দীন বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, এ জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এ আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ দুজন মহিলা পুলিশ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবেন। পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও ৩ আসন।
বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান পদত্যাগ করায় এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ ও ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচন ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূণূভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুর থেকে প্রিজাইডিং অফিসাররা, স্ব স্ব রিটানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি গ্রহণ করেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) এএইচএম আবদুর রকিব জানান, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার ৪৫০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ এক হাজার ১৭০ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ চার হাজার ২৮০ জন। আর ভোট কেন্দ্র ১৮০টি।আর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১১ হাজার ৪৯৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ছয় হাজার ১৪৯জন ও নারী ভোটার দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৬ জন। ভোট কেন্দ্র ১৭২টি।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ হারুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় এ আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।