‘ফাহিম হত্যায়’ শেখ হাসিনা জড়িত: খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘ফাহিমকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা একটি সাজানো ঘটনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আইনজীবীদের মুভ করা উচিত যে, কিভাবে সে মারা গেলো? রিমান্ডে নিয়ে তাকে হত্যা করা হলো হাতকড়া পরা অবস্থায়। পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা এর সঙ্গে জড়িত। কারণ সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত।’
তিনি বলেন, যত সময় যাচ্ছে দেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই সরকার দেশের মানুষের ওপর একের পর এক জুলুম করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। যেভাবে লুটপাট শুরু হয়েছে, সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, তাতে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়, আগে কখনো শুনিনি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে নতুন নতুন অনেক কিছু দেখা যায়। তা থেকে দেশকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। অথচ তাদের মুখে বড় বড় বুলি। তারা মিথ্যা ছাড়া কখনও সত্য কথা বলে না। তারা একটার পর একটা দেশ বিরোধী কাজ করে।
খালেদা জিয়া ইফতারের পূর্বে টেবিল ঘুরে ঘুরে আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। এর আগে, সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ইফতার মাহফিলে এসে পৌঁছান তিনি।
মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই টেবিলে বসে ইফতার করেন- লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, এমদাদুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, মাহবুবুর রহমান খালেদ, আলাউদ্দিন আলী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা, শামসুদ্দিন পারভেজ, অধ্যাপক মহসিন ভুইয়া, মাহমুদ খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. সেলিম উদ্দিন, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য হানিফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, আব্দুল মান্নান, এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র মাওলানা শামীম সাঈদী, অ্যাডভোকেট মো. মশিউল আলম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএমএল’র মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ডেপুটি হাই কমিশনার টিম বোলোটনিক অফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।