হাতিয়ায় পৌর বিএনপির সভাপতিকে অব্যাহতি
ইসমাইল হোসেন কিরন : নোয়াখালীর হাতিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কাজি আব্দুর রহিমকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেই ছবি নিজের ফেইজবুকে পোষ্ট করায় দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই চিঠি হাতিয়া এসে পৌছলে অনেকে তা সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকায় কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু তিনি যে লেখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। এজন্য তাকে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় এর আগে গত বুধবার (১৭ আগষ্ট) কাজি আবদুর রহিমকে কারন দর্শানো নোটিশ দেন জেলা বিএনপি । তাতে ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে লেখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়।
কাজী আবদুর রহিম হাতিয়া পৌরসভা বি এন পির সভাপতি। তিনি হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। মাদ্রাসার আয়োজনে গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপিস্থিত থেকে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন তিনি।
কাজী আবুদর রহিমের পোষ্টকরা সেই ছবিগুলো তার ফেইজবুকে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পোষ্ট করার দুই ঘন্টা পর তিনি তা ডিলেট করে দেন। তবে বিএনপি নেতা কর্মীরা স্কিনসর্ট দিয়ে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্দ্বতনের কাছে আবেদন করেন।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী তানভির উদ্দিন রাজিব জানান, বিএনপির দলীয় নিয়ম নীতি আছে। এই নিয়মের বাহিরে গেলে দল তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কাজী আবদুর রহিমকে কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্তোষ জনক জবাব দিতে পরেন নি। তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান কাজী আবদুর রহিম একটি ম্দ্রাসায় চাকরি করেন। তাতে তিনি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে থাকতেই পারেন। কিন্তু তিনি বিএনপির একটি বড় দলীয় পদে থেকে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করতে পারেন না।
এই বিষয়ে কাজী আবদুর রহিম বলেন, আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বহিস্কার করা হয়নি। কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমার চেয়েও আরো ভালো কাজ করতে পারে এমন কাউকে এই পদ দেওয়া হতে পারে।
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, কাজী আবদুর রহিমকে ৭ দিনের মধ্যে লেখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে লেখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজসক না হওয়ায় তাতে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।