হাতিয়ায় অন্তঃসত্তা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা , বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ইসমাইল হোসেন কিরন : নোয়াখালী হাতিয়ায় বিজলী আক্তার (২০) নামে অন্তঃসত্তা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে এই হত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। উপজেলার জাহাজমারা বিরবিরি বাজারে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ভাবে জানাযায়, গত ১৬ জুলাই নিহত বিজলীর মৃতদেহ পুলিশ জাহাজমারা ৬ নং ওয়ার্ডের তার শ্বশুর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। বিজলীর স্বামী মো: মামুন (২৭) একই এলাকার মো: সোরাব হোসেনের ছেলে।
মানববন্ধনে নিহত বিজলীর আত্মীয় স্বজন ছাড়াও এলাকার ৫ শতাধিক বিভিন্ন পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন চলাকালে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত হাতিয়ার নলচিরা-জাহাজমারা প্রধান সড়কে সকল যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বিজলী হত্যার সাথে জড়িত তাঁর স্বামী মামুন ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নিহত বিজলীর পিতা আবুল কাশেম জানান, গত একবছর পূর্বে তার মেয়ের সাথে পাশের গ্রামের মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মামুন বিভিন্ন সময় মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। এব্যাপারে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ বৈঠক বসে মিমাংসা করা হয়।
ঘটনারদিন সকালে স্থানীয় লোকজন থেকে শুনে মেয়ের শ্বশুর বাড়ী গিয়ে দেখেন তার মেয়ের মৃতদেহ খাটের উপর পড়ে আছে। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন গলায় ফাঁস দিয়ে বিজলী আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তাকে। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড । নিহত বিজলী ৫ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে হাতিয়া থানা পরিদর্শক ( তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, বিজলীর মৃতদেহ তাঁর শ্বশুর বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের কোথাও আগাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে হাতিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে একাধিক বার চেষ্টা করেও নিহত বিজলীর শ্বশুরবাড়ীর কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ীতে গিয়ে ঘরে কয়েকজন শিশু ছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে পাওয়া যায়নি।