শারমিনের গল্প : একটি সাধারণ মেয়ের আত্মকথন (পর্ব-৪০)

Tuesday, November 1, 2022

           শারমিন আকতার রানা


.
আল্লাহর অশেষ রহমতে সে যাত্রায় আমরা সহিসালামতেই বাসায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক তার পরপরই ড্যাডির পদোন্নতিরও সুসংবাদ পেলাম আমরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ,এন,ও) পদে ড্যাডিকে সাতকানিয়াতে দুই দিনের মাঝেই জয়েন করার নির্দেশ এল । আনন্দের সাথে বিদায়ের যন্ত্রণা ও মিশে ছিল। গোছানোর কাজে সবাই ব্যস্ত হয়ে উঠলো। সময় স্বল্পতার কারণে স্কুলের বন্ধুদের থেকে বিদায় ও নেয়া হয়নি।তখন আমি গার্লস স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়তাম। স্কুলে আপ-ডাউন রিকশা ভাড়া ছিল সাত টাকা করে। আমি আর কলি একসাথেই স্কুলে যেতাম। বদলির খবর শোনার আগের দিন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে কলিকে অপেক্ষারত অবস্থায় পেলাম না।সাধারণত আমরা দুজনের কেউ একজন স্কুলে না গেলে আগেই সেই খবর অপরজনকে পৌঁছে দিই।এর আগে কখনো এরকম ঘটনা ঘটেনি বলেই আমি নিশ্চিত মনে খালি হাতেই মেইন রোডে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ, আজ রিকশা ভাড়া দেয়ার পালা ছিল কলির।বাসা থেকে মেইন রোড কিছুটা দূরেই ছিল। বাসায় ফিরে এসে টাকা নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে হেঁটেই স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। এমনিতেই আমার পাদু’টো ছোট বেলা থেকেই হাঁটার ব্যাপারে বেশ প্রস্তুত হয়েই থাকে।বেশ জোরেশোরে হাঁটা শুরু করতেই টুংটাং করে বেল বাজিয়ে আমার সামনে একটি রিকশা দাঁড়িয়ে গেল। তাকিয়ে দেখলাম, রিকশাওয়ালা চাচাই ব্রেক কষেছে। উনার বয়স বেশি হওয়ার কারণে টগবগিয়ে রিকশা চালাতে পারতেন না।তাই উনার রিকশায় পারতপক্ষে কেউ উঠতেও চাইতোনা। বিষয়টি আমাকে ভীষণ দুঃখ দিত।গন্তব্য স্থানে কিছুটা পরে পৌঁছালে সবসময় কী জগৎ সংসারের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যায়?টাইমলি পৌঁছাতে হলে বাসা থেকে একটু আগে বেরুলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়। আমার আর কলির অবশ্য তাড়াহুড়োর কোন ব্যাপার ছিল না।আমরা সবসময় সঠিক সময়ের দশমিনিট আগেই বাসা থেকে বেরুতাম। তাই চাচার রিকশায় উঠার ব্যাপারে আমাদের কোন সমস্যায় ছিল না।বরং রিকশা ধীরে চলার কারণে গল্প করার ফাঁকে চারিদিকের পরিচিত মনোরম দৃশ্যগুলোর দিকে নজর বোলাতে বোলাতে স্কুলে পৌঁছাতে বেশ লাগতো। আজ সাথে টাকা না থাকায় চাচাকে এভয়েড করেই আমি হাঁটা শুরু করেছিলাম। উনি হাসি মুখে আমাকে রিকশায় উঠে বসতে বললেন।আমি বললাম, চাচা আমার কাছেতো টাকা নেই তাই আজ হেঁটেই স্কুলে যাব। উনি আদুরে ধমকের সুরে বললেন, উঠে বসতো। টাকা লাগবে না। প্রিয় আপনজনদের সাথেই মানুষ এমন কর্তৃত্বের সুরে কথা বলতে পারে। তাই আমি উনার আহবানকে উপেক্ষা করতে না পেরে রিকশায় উঠে বসার ফাঁকে উনার ফোকলা দাঁতের মিষ্টি হাসিখানা দেখে মনটা জুড়িয়ে নিলাম। সেদিন ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বেড়িয়ে আমি আবারও নতুন চমকের মুখোমুখি হলাম। চাচা রিকশা নিয়ে স্কুল গেটের সামনেই অপেক্ষারত।উনি বললেন, মা-রে তোমার জন্যই বসে আছি। তোমার পক্ষে কী এতটা পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব? তোমার যে অনেক কষ্ট হতো। কথাগুলো উনি আঞ্চলিক ভাষায় বললেও তাতে আদর মাখামাখি হয়ে ছিল। তাইতো আমি উনার ভালোবাসার কাছে পরাস্ত হয়ে রিকশায় বসতে বসতে মনে মনে বললাম, হাঁটায় কখনো আমার ক্লান্তি আসেনা। শুধু চাচা, আপনাকে ফিরিয়ে দেয়ার মতো ক্ষমতা আমার ছিল না বলেই রিকশায় উঠেছি।তবে ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ না করতে পারলেও যেভাবেই হোক জোর করে হলেও আগামীকাল ইনশাল্লাহ আপনার ভাড়া পরিশোধ করে দিব। এর দুদিন পরেই আমরা সাতকানিয়া চলে গিয়েছিলাম। তবে যাওয়ার আগে টাকা নিয়ে চাচার সাথে শেষ দেখাটুকু করার আশায় মেইন রোডে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। উনাকে খুঁজে পেলাম না। সেই সময়ে সাতটাকারও বেশ মূল্য ছিল। মালাই আইসক্রিমই তখন আটআনা করে পাওয়া যেতো। অর্থ এবং ভালোবাসা দুই ঋণেই আমি উনার কাছে ঋণী হয়ে রইলাম। মহান আল্লাহ পাকের দরবারে উনার জন্য দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনি। সাতকানিয়াতে আমরা দুপুর বারোটার মাঝেই পৌঁছে গেলাম। গেট দিয়ে ঢুকার মুখেই চারিদিকে মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। গেট লাগোয়া বাসায় প্রবেশের রাস্তাটির দুই ধারে নানা বর্ণের ফুল ফুটে আছে । অবশ্য রাস্তাটির পাশ ঘেঁষে একটা ঝাঁকড়া বড়ই গাছ আর কিছু পেয়ারা গাছ ও মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দুই পাশের বাউণ্ডারী ওয়ালের ভিতরে নানারকম পাতাবাহারের ঝোপ সুসজ্জিত রূপে যেন আমাদের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে স্বাগত জানাচ্ছে। আর দোতলা বিল্ডিং এর পিছনের অংশ থেকে বিভিন্ন ফল গাছের সুউচ্চ শাখাগুলো মাথা বের করে অপলক নয়নে আমাদেরকেই যেন দেখছে।নবীনদের বরণ করে ঘরে তুলতে কেউ বিশেষ কার্পণ্য করছেনা।আরে! বাসার ডান কোণ বরাবর কলাপসিবল গেটের ওপাশে একটা পুকুর ও দেখা যাচ্ছে। দোতলা বাসাটাওতো অনেক সুন্দর! মনটা খুশিতে ভরে গেল। দারোয়ান বাবুল ভাই আমাদের বসিয়ে রেখেই একছুটে বাসায় গিয়ে উনার ওয়াইফ আর ছেলে মেয়েদের নিয়ে এলেন আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। উনার ওয়াইফের নাম পুষ্প। সত্যিই যেন উনি ফুল হয়েই ফুটে আছেন। কপালে বিশাল গোল লালটিপ, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর আর ঘোমটা দেয়া অবস্থায় উনাকে নতুন বৌদের মতোই লাগছিল। কেউ দেখলে ও বিশ্বাস করতে চাইবে না যে উনি মাণিক, কার্তিক, জ্যোস্না, রত্নার মতো চারটি ফুটফুটে ছেলে মেয়ের মা। পুষ্প দিদি আর বাবুলভাই উনাদের সহজাত সরলতার কারণে দিনশেষে আমাদের আপনজনদেরই একজন হয়ে গেল। এরপর প্রতিদিন সকালেই পুষ্প দিদি আমাদের বাসায় এসে সারাদিন মামনির সব কাজের সঙ্গী হয়ে থাকতো। আমরা আসার পূর্বে যাঁরা এই বাসায় ছিলেন তাদের বাসায় নাকি পুষ্প দিদি দু- এক বারের বেশি আসেননি। আমাদেরকে উনারা এতোটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে বাসায় যাওয়ায় কথা ও অনেক সময় খেয়াল থাকতো না।বাবুল ভাইতো সবকিছুতে আরো এককাঠি এগিয়ে ছিল। ভারি কাজগুলো অনায়াসেই ঝটপট করে ফেলতেন। আর ওদের ছেলে মেয়েগুলো যেহেতু প্রায় আমাদেরই বয়সী তাই তারাও আমাদের খেলার সঙ্গী হয়ে আমাদের বাসাতেই থাকত।
তখন আমরা নিজেরাও সংখ্যায় কম ছিলাম না।আমি, মনি, সালমা (ছোট ফুফুর মেয়ে), নাফে (গিয়াস কাকার ছেলে) মিলেই একটা গ্রুপ হয়ে যেতাম। চাচী সেসময় রূপকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জয়েন করেছিলেন।তাই দাদা, দাদী, চাচা,ফুফু, প্রায় আসা মেহমানদের নিয়েই ভরভরন্ত অবস্থা ছিল। সময়গুলো কোন ফাঁকে উড়ে উড়ে যেতো টেরই পাওয়া যেতো না। তবে মামনি আর পুষ্প দিদির উপর দিয়ে অনেক দখল যেতো।মামনিতো এক প্লেটে খাবার নিয়ে আমাদের সবগুলোকে একসাথেই খাইয়ে দিত। সাতকানিয়াতে হাঁস, মুরগী, কবুতর আর গরুর খামারের সাথে নতুন অতিথি হয়ে যোগ হয়েছিল তিনটি মায়াবী হরিণ। তখন বিটিভিতে নিয়মিত শ্রদ্ধেয়া ফেরদৌসী রহমানের ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানটি দেখতাম। মিঠু,মন্টি আর ঘণ্টি নামের তিন পাপেট এই অনুষ্ঠানের সুবাদে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। আমার প্রিয় সেই তিনটি নামেই হরিণ তিনটির নাম রেখেছিলাম।ওরা খুবই দূরন্ত ছিল। ধীরে ধীরে হরিণগুলো ও আমাদের খেলার সাথী হয়ে উঠেছিল। ওদের সাথে খেলা করার জন্য আমাদের স্কুলের বন্ধুরাও আসতো।আমরা সবাই মিলে ওদেরকে আমলকী, ভুট্টা, গাজর এই জাতীয় খাবার গুলো মুখের সামনে ধরে খাইয়ে দিতাম। গরু আর হরিণের জন্য তরতাজা খাবারের বন্দোবস্ত করতে গিয়ে ড্যাডি বাসার একপাশে কতোটুকু জমি খনন করে তরমুজ, লাউ, ভুট্টা, গাজর এসবের চাষ করেছিল। এই কমপ্লেক্সের সবাই আমাদের থেকেই খাঁটি দুধ কিনতো।বর্তমানে খাঁটি বলে যেই দুধ বিক্রি করে সেই দুধ দেখলেই হাসি চলে আসে মনের অজান্তে। মানুষ লোভের পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত হয়ে নিজেদের ঐতিহ্যই ধ্বংস করে দিচ্ছে। আফসোস। আমি ডিম খেতে পছন্দ করলেও দুধ ভালো লাগতো না।তাই মামনি দই, ক্ষীর, পায়েস এগুলো তৈরি করে আমাদের খাইয়ে দিত। আমার ডিম প্রীতি নিয়ে প্রায় ড্যাডি নিজের ছেলে বেলার একটা স্মৃতি রোমন্থন করতো। ড্যাডির বয়স তখন কতো আর হবে? এই পাঁচ কী ছয়।বাড়িতে তখন বদইল্লারা( শ্রমিক,হাতিয়াতে ঐ নামে ডাকা হয়) কাজ করছিল। হাতিয়াতে নিয়ম হলো, যেই বাড়িতে বদইল্লা কাজ করবে সেই বাড়ি থেকেই উনাদের দুপুরের খাবার খাওয়াতে হবে। প্রায় আশিজন বদইল্লার জন্য দাদু সহজ খাবারের আইটেম ভাত,ডাল,মিষ্টি কুমড়ার তরকারি আর ডিম সিদ্ধ করে নিয়ে ডিমের খোসা ছাড়াচ্ছিলেন দ্রুতবেগে।জোহরের আজান পড়ে গেছে আরও আগেই। এক্ষুনি বদইল্লারা খেতে চলে আসবে। বড়দাদু সামনের বারান্দায় সারি সারি পাটি বিছিয়ে দিচ্ছিলেন। এমন সময় ছোট্ট দূরন্ত ছেলেটা(ড্যাডি) খেলা ফেলে ছুটতে ছুটতে রান্না ঘরে মা কী করছে একপলক দেখে যেতে এসে ডিমের দিকে নজর পড়ে গেল। তাই মায়ের কাছে একটা ডিম আব্দার করে বসল।এই ছেলেটিও আমার মতোই ডিম খেতে ভীষণ ভালোবাসতো। মা কী আদরের মাণিককে ডিম না দিয়ে পারে? একটু পর ডিমটি সাবাড় করে ছেলেটা আবার ও একটা ডিম খেতে চাইল। মা বললেন,বাবা পরে খেও।বদইল্লা খেতে আসার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আগে ওখানে খাবার পাঠাই।তারপর দেখা যাবে।ছেলেটা এবার তার দাদির আঁচলের তলায় ঢুকে নতুন করে আব্দার পেশ করল।আবার ও ছেলেটির ভাগ্যে একটি ডিম জুটে গেল। পরম তৃপ্তি নিয়ে সেই ডিমটিও সে খেয়ে ফেলে নতুন করে আরেকটি ডিম খাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান করতে লাগলো।এতোক্ষণ ছেলেটির বাবা কাজের ফাঁকে সবই খেয়াল করছিল।ততোক্ষণে বদইল্লারাও খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থালা সামনে নিয়ে বসে গেছেন। তাদের জন্য খাবার বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেকে ঘ্যানঘ্যানানি থামানোর জন্য একটা ধমক দিলেন।এতে বরং হিতে বিপরীত হলো।ছেলেটি আরো উচ্চ স্বরে কাঁদতে লাগলো ডিমের জন্য। এবার ছেলেটির বাবা কোন কথার ধারেকাছে না গিয়ে ছ্যাঁত করে ছেলেটিকে পাজ কোলা করে উঠিয়ে পুকুরের পানিতে উড়িয়ে মারল।ছেলেটা যখন হাবুডুবু খাচ্ছিল গভীর পানিতে তখন তার বাবা জিজ্ঞেস করলেন, আর কোনদিন এরকম কথার অবাধ্য হয়ে ঘ্যানঘ্যান করবি? ছেলেটার তখন কথা বলার মতো অবস্থা ও ছিল না।সারা পুকুর পাড়ে লোকজন জমায়েত হয়ে তখন গিজগিজ করছিল।যাহোক, রাগের মাথায় করা কাজগুলোকে মানুষ ঠান্ডা মাথায় যখন ভেবে দেখে তখন অনুশোচনায় দগ্ধ হয়।ছেলেটির বাবাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সিদ্ধ ডিমের প্লেট সাজিয়ে ছেলেটাকে যখন আদর করে খাওয়াতে গেলেন তখন ছেলেটির ডিমের গন্ধেই বমি পাচ্ছিল।এরপর আর কখনো ডিম খেতে পারতোনা ছেলেটি(ড্যাডি)।বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে নতুন জামাইকে দাদিশ্বাশুড়ি যখন ডিম পরিবেশন করতে গেলেন তখন ড্যাডি ডিম খেতে না পারার করুণ কাহিনী খুলে বলেছিল।বড্ডাতো অনেক কিছুই জানতেন যা পরবর্তীতে আম্মাকে শিখিয়ে গিয়েছিলেন। উনি ডিমে কোরআনের বিশেষ কোন আয়াত পড়ে ফুঁ দিয়ে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বলে খেতে নিতে বলেছিলেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে এরপর থেকে ড্যাডি তার অত্যন্ত প্রিয় ডিম আবার খেতে পারেন। সেই সময়ে হঠাৎ খবর এলো সমাজ সেবা অফিসারের ছেলেটি ভীষণ অসুস্থ। ডাক্তারেরা একপ্রকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কথাটা শুনেই সন্ধ্যায় মামনি আর আমি দেখতে গেলাম। বাবুটার ও আমাদের শাওনের মতোই অবস্থা।স্যালাইন চলার মাঝেই সব ভাসিয়ে দিচ্ছিল। আন্টির দিকে তাকিয়ে মনে হল মামুকেই দেখছি। সেই একই দৃশ্য, শুধু পেক্ষাপট ও মানুষেরা ভিন্ন।হে আল্লাহ, আবার যেন একই রূপের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ যে কী অসহনীয় দহন ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারবেনা। মামনি হঠাৎ চোখের পানি মুছতে মুছতে আমাকে নিয়ে বাসার দিকে দ্রুতগতিতে পা চালালো। বাসায় ঢুকেই বড় কাকাকে সব খুলে বলল। বড় কাকা তখন আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল।এরপর বড়কাকাসহ আবার আন্টিদের বাসায় চলে গেল। বড়কাকা একটা কলেরার স্যালাইনের নাম লিখে দিল।সাতকানিয়াতে তখনও কলেরার স্যালাইন পাওয়া যেতো না। উনারা সরাসরি চট্টগ্রাম গিয়ে স্যালাইন নিয়ে এলেন।এবার আল্লাহ মুখ ফিরিয়ে নিলেন না। বাবুটা সুস্থ হয়ে মায়ের বুকে ফেরত এলো।


লেখক : হাতিয়ারই সন্তান । তাঁর বাবা  মাহতাব উদ্দিন আহমেদ মিলন (ম্যানেজার সোনালী ব্যাংক), ড্যাডি আবু ইউসুফ হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বেলাল (অবসরপ্রাপ্ত জয়েন্ট সেক্রেটারি) ।  তিনি ইডেন কলেজ থেকে গণিতে অনার্স, মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় গৃহিনী হিসেবে বসবাস করছেন। তাঁর লেখা ”একটি সাধারণ মেয়ের আত্মকথন” উপন্যাস বইটি পাঠকের কাছে খুবই সমাদৃত হওয়ায়  এর  কয়েকটি পর্ব  হাতিয়া কণ্ঠে প্রকাশের উদ্যোগ  নেওয়া হয়েছে ।


বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারছে, কিন্তু পশ্চিমারা চুপ: জয়

আ.লীগ প্রার্থীর সমাবেশে বন্দুক হাতে বিএনপি নেতা

নদী রক্ষা করতে না পারলে, দেশ রক্ষা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

বুধ-বৃহস্পতি অবরোধ, রোববার মানববন্ধনের ডাক বিএনপির

রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

আচারণবিধি লঙ্ঘন : নোয়াখালী-১ আসনের আ.লীগ প্রার্থীকে শোকজ

নোয়াখালীর ৬ আসনে এমপি কিরনসহ ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল গভীর নিম্নচাপ, নাম ‘মিগজাউম’

এলপিজি গ্যাসের দাম ২৩ টাকা বাড়ল

নির্বাচনের আগে সারা দেশে ওসি-ইউএনও বদলির নির্দেশ

হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল

অনিয়ম-দুর্নীতি-ই হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ

নোয়াখালী-৪ ও নোয়াখালী-৩ এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল 

নোয়াখালীতে যাত্রীবাহী বাসে হামলা, আহত-৫ 

নোয়াখালীর ৬ আসনে ৫৫ মনোনয়নপত্র জমা

এই সম্পর্কিত আরো