গল্প : তোমায় গান শুনাবো (পর্বঃ২)

Saturday, February 11, 2023


শারমিন আকতার রানা


প্রেমের ধারাই বুঝি এমন!না হলে যে মুহূর্তে বুঝতে পারলাম সেও আমারি মতো করে আমাকে ধারণ করে আছে এতোগুলো বছর ধরে তখন মনের উত্তপ্ত উদগীরণে ফুলেল শান্তির হাওয়াই যেন বয়ে গেল । আবার যখন একাকি কথাগুলো হৃদয়ে নেড়েচেড়ে দেখছিলাম তখন প্রশান্তির সাথে আফসোসের হাহাকার ও সমান তালে ব’য়ে যেতে লাগল। আহারে! কেন সেসময় আমরা ভীরুতা কাটিয়ে সাহসী পদক্ষেপ নিলাম না?সময় বড়ই বেরহম।৮৫ সালে হাতিয়াতে সেই বিয়েতে না গেলেই তো হতো। বুকের ভিতরের টগবগে উদগীরণের হাত থেকে এই জীবনে আর রেহাই নেই। ওহ্!৮৫ সালের মে ‘ মাস।সদ্য ক্লাস সেভেনে উঠেছি।বয়ঃসন্ধির প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে ও জীবনের কঠিন দিকগুলোর পুরোটাই অজানা। বরঞ্চ সবার ছোট হওয়ার দরুন আদরে আদরে একটু বেশি মাত্রায় আহ্লাদীই শুধু না,রীতিমতো বাঁদর হয়ে উঠেছি। আম্মা একপ্রকার জোর জবরদস্তি করেই আমাদের তিনবোনকে নিয়ে মৌরী ফুপ্পির বিয়েতে অংশ গ্রহণ করার অভিপ্রায়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন একটু আগে ভাগেই।সেদিন ঝড়ো হাওয়ায় আমাদের স্ট্রীমারটি মাঝদরিয়াতে আটকে গিয়েছিল। ভয়ে অস্থির হয়ে আমি আম্মাকে কতো কথাই না শুনিয়েছি।ভেবেছিলাম , সেই যাত্রাতেই জীবনের ইতি ঘটবে।আম্মা চুপ করে সব হজম করে নিয়েছিলেন।বিধাতা নিশ্চয়ই তখন আমার কাণ্ডকারখানা দেখে মুচকি হেসে নিয়েছিলেন। তখনো তো জানতাম না বৈরী প্রকৃতির ধাক্কা সামলানোর পর হাতিয়ায় আমার জন্য কী সারপ্রাইজ অপেক্ষা করে আছে। পরে শুনেছিলাম সেদিন রাতে আমাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য আমার চাচা,চাচাতো ভাইদের সাথে জিহানও হাতিয়া ঘাটে এসেছিল।কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে শীপ আটকে থাকায় আমরা ভোররাতে হাতিয়া ঘাটে পৌঁছি।কিন্তু তখন আমাদের অপেক্ষায় ঘাটে কেউ অপেক্ষমাণ ছিল না।আমাদের সাথে কোন পুরুষ না থাকায় আম্মার চোখে চিন্তার ভাঁজ টের পেলেও আমলে নিলাম না। উল্টো রাগে দুঃখে গজগজ করতে করতে প্যাঁক কাদা ডিঙিয়ে অবশেষে ভোরে দাদাবাড়ী এসে পৌঁছালাম। সব রাগ দুঃখ অভিমান নিমেষেই উবে গেল দুটো চোখের দিকে যে মুহূর্তে দৃষ্টি স্থীর হলো।চার চোখের সেই তৃষ্ণা আজীবন তাকিয়ে থাকলেও মেটার নয়।এর আগে কখনো এমন মাদকতা ময় অনুভূতির সম্মুখীন হইনি। কী এক শিরশিরে ঘোরের ভিতর নিমজ্জিত হয়ে সবই বিস্মৃত হলাম।জিহান!আমার জিহান!তার দিকে তাকানোর পর আমি একলাফেই যেন গুরুগম্ভীর পরিণত বয়সে পৌঁছে গেলাম।সমুদ্রের ফেনিল ঢেউয়ের মতো কিংবা সবুজ ধান ক্ষেতের দুলুনির সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলেই যেন সৃষ্টি কর্তা আমার জিহানের চুলের ধরন তৈরি করেছেন।রেশমি চুলগুলো দোলার তালে তালে সোনালী রোদ্দুরের ঝিলিকের মতো চিকচিক করছিল।আর চোখের গভীরতা এতোই প্রখর যে তা আমার হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কণ্ঠ এতোটাই ভরাট যে যখন কথা বলে মনে হয় কবিতার রাজ্যে অবগাহন করছি। ২১ বছরের টগবগে তরুন।বড়ই সর্বনাশা বয়স!বেচারা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়তো আর এমনি এমনি একুশ বছর বয়সে লিখেননি।মেয়েরা বয়ঃসন্ধিতে আর ছেলেরা বুঝি একুশে এসে খোলশ খুলে সৌন্দর্যের বারতা খুলে বসে।তার পাশে নিজেকে খুবই পিচ্ছি পিচ্ছি আর অপরিণত লাগছিল। আল্লাহ তুমি আমাকে নিমিষের মাঝে আরেকটু বড় করে দাওনা।না হলে আমার আবেগের কোন মূল্যই যে কেউ দিবে না।উল্টো কারো চোখে ধরা পড়লে গাট্টা খেতে হবে। এমনিতেই হাতিয়াতে কথা বাতাসের আগে ছড়ায়। তাই সকল শিরশিরে অবস করা অনুভূতিকে মনের মাঝেই বন্দী করে লুকিয়ে রাখতে গিয়ে আরও বেশি গম্ভীর হয়ে গেলাম। এরপর ও কী নিজের মনের কাছে নিস্তার পেয়েছি? বেহায়ার মতো যখন তখন তার আশেপাশে ঘুরঘুর করতে লাগলাম।ওমা! সেও তো তদ্রুপ!আমার দিকে নির্লজ্জের মতো ঠারেঠারে চায়!

আমার জিহান সেসময়ে ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ে। তার চলনবলন,কথাবার্তা অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা। সবকিছুতেই মুগ্ধতা ছড়ানো। শুনতে পেলাম, লেখাপড়ার ফাঁকে ফোঁকরে রাজনীতির সাথে ও সম্পৃক্ত। বিয়ে বাড়ি লোকসমাগমে থইথই করছে। জিহান সবার সাথে সমান তালে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে মুহূর্ত মাত্র সময় নিচ্ছে না।কথায় কথায় ছাড়া গলায় গেয়ে উঠে,ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা,উড়েছে পাখি পথ চেনা, কিংবা তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে হৃদয়ের কোটরে রাখবো, আর হৃদয়ের চোখ মেলে তাকিয়ে সারাটি জীবন ভরে দেখব,,,,, এমনি ধারার গানগুলো। আমি ছোট বেলা থেকেই গানের অন্ধভক্ত।গান শেখার প্রতি অপরিসীম আগ্রহ থাকলেও পারিবারিক অবকাঠামোগত কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাইনি ।তবু কারণে অকারণে প্রায়ই মনে মনে গুনগুন করি আর প্রচুর গান শুনি। তবে কবিগুরুর গান,কবিতার বিশেষ ভক্ত ছিলাম বিধায় বিয়ে বাড়িতে ক্যাসেট প্লেয়ারে হৈ-হুল্লোড় টাইপের জমজমাট গানগুলো বাজার সময় আস্তে করে পাল্টে রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে দিতাম।আবার কখনো কখনো হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দের গানও চালিয়ে দিতাম। সে ঠিকই এটা টের পেয়ে যেতো।তার চোখের ভাষায় আমি সবই বুঝতে পারতাম। সে সম্পর্কের দিক থেকে আমাদের আত্মীয় হলেও এর আগে কখনো দেখা হয়নি ।সে সবার সাথে সমান তালে মিশতে পারলেও কেন যেন আমার সাথে অব্যক্ত চাহনিতে মৌন ভাষায় কথা বলা ছাড়া মৌখিক ভাবে কোন ভাব আদান-প্রদান করতো না। বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন থাকায় রাতে আমরা মেয়েরা দরমার(হাতিয়াতে বাড়ি গুলোতে সেই সময় টিনের ছাউনি দেয়া থাকার দরুন উত্তাপের তেজ থেকে বাঁচার জন্য টিনের কিছুটা নিচে কাঠের পাটাতন দিয়ে দরমা বানাতো) উপরে ঘুমাতাম। রাতে গল্প করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেলেও আমার চোখে ঘুম কোথায় যেন ডুব মারতো।ঘুমকাতুরে আমি এক অন্য আমিতে রূপান্তরিত হচ্ছিলাম সবার অলক্ষ্যে। ছোট বলেই হয়তো কেউ আমার পরিবর্তন গুলোর দিকে দৃকপাত করার কথা ভাবেইনি। ঘুমের আশায় চোখ বন্ধ করলেই কল্পনায় শিরশিরে এক অচেনা অনুভূতি জড়িয়ে ধরতো আমায়।মনে হতো জিহানের গায়ের অদ্ভুত মাদকময় সৌরভে হাল্কা পেঁজা তুলোর মতো আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উড়ছি। উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে একসময় ঘুমের কোলে ঢলে পরতাম।মৌরী ফুপ্পির গায়ে হলুদের আগের রাতে ও ঠিক এভাবেই অন্য দিনের মতো ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।সবাই একে একে কখন জেগে ওঠে দরমা থেকে নেমে গেছে কিছুই টের পাইনি। হঠাৎ ঘুমের মাঝেই আবার সেই অদ্ভুত শিরশিরে অনুভূতি ফিরে এলো। আমার মুখে অদ্ভুত আনন্দ খেলে বেড়াতে লাগলো। তবু অলস ভাবে চোখ বুজেই পড়ে রইলাম কতক্ষণ তার সঠিক হিসাব নিজেও জানিনা। আমি শুয়েছিলাম দরমার খোলা অংশে একপাশে কাত হয়ে । নীচে গায়েহলুদের তোড়জোড় জোরেশোরেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই শোরগোলের মাঝেই সুললিত চেনা কণ্ঠ গেয়ে উঠলো, এনেছি আমার শতজনমের প্রেম,আঁখি জলে গাঁথা মালা।গানটা কর্ণগোচর হওয়ার সাথে সাথে চক্ষু খুলতেই চার চোখের মিলন হয়ে গেল। আমি নিজের অজান্তেই লজ্জায় কেঁপে উঠলাম।দরমা থেকে আড়াআড়ি ঠিক নীচেই মহাশয় পাটির উপর চিৎ হয়ে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে গাইছে। হায়!আল্লাহ! উনি আমার মনের সব কি পড়ে ফেলেছেন?আমাকে ইঁচড়েপাকা ভেবে সবার কাছে আবার নালিশ ঠুকে দিবেন না তো?নাকি আমার মতোই অদ্ভুত বিরহে ডুবে আছেন?

টুংটাং শব্দে মেসেজ বেজে উঠতেই ভাবনার অতল থেকে বের হয়ে দেখি,জিহানের মেসেজ। জিহান! আমার জিহান! তোমার ভাবনাতেই তো বুঁদ হয়ে আছি। তোমার আদুরে মেসেজগুলো পড়ার সময় টুক করে মনের অজান্তে কিশোরী বয়সে ফিরে যাই। ইশ! সময়কে যদি আগপাছ করা যেত তাহলে আমার চেয়ে সুখী বুঝি এই জগতে আর কেউ হতো না।মেসেজে চোখ বুলিয়ে দেখি জিহান লিখেছে,,, ঃবিমুগ্ধ রজনী। ঃ মনটা বড্ড অস্থির লাগে। ঃ নদীতে রূপালী চিকচিক। ঃ হুম। কী সুন্দর! জিহানঃ উদাসী আমি তুমি বিহীন এই বিমুগ্ধ রজনীতে, দেখছি রূপালী নদীর ঢেউ। ঃ আমি কী তোমার হাত ছুঁয়ে এতো সুন্দর দৃশ্য না দেখেই মরে যাব? জিহানঃ চাঁদ আমার বিরহের সঙ্গী। ঃ হায়!তোমার গুলশিরিন! জিহানঃ আমার সামনে মুখোমুখি বসার বেঞ্চটা শুন্য।। ঃ কল্পনায় আমি। না,,,হ, আমি তোমার পাশে বসবো। জিহানঃ তুমি তুমি তুমি তুমি তুমি বুঝেছো? বুঝেছো? তোমার সাথে কথা বলার দিনগুলো ফুরিয়ে গেলেই আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। আফসোস করবো খালি। ঃ সব যদি ম্যাজিকের মতো পাল্টে যেতো? ?? ?? ?? কী হলো? কী এতো লিখে যাচ্ছ? ?? ওহ! পড়ার জন্য তর সইছে না। তোমার মেসেজ পাওয়ার আগ মুহূর্তে মৌরী ফুপ্পির গায়ে হলুদের দিনের মিষ্টি সকালটার কথা ভাবছিলাম।তোমার মনে আছে জিহান? তুমি কী প্রেমের উপাখ্যান লিখতে বসে গেলে জিহান?? ?? ?? ?? জিহানঃবোকার মতো মনে মনে আজগুবি এক ভাবনায় ডুব দিয়েছিলাম।স্পষ্ট দেখলাম, আমি তোমার হাতের কোমল মখমলের মতো আদুরে আঙ্গুল গুলোর ভিতরে আঙুল ডুবিয়ে নদীর কুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। নদীর ঢেউকে এলোমেলো করে দিয়ে চঞ্চলা হাওয়া এসে তোমার চুলে লুকোচুরি খেলায় মেতেছে। আমরা দুজন আরেকটু সামনে এগিয়ে নদীর কূলে নিঃস্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছটির নীচে বসলাম।ঠিক স্বাভাবিক বসা বলতে যা বুঝায় তা না।আমি হেঁটে আসার সময় তোমার গা থেকে আসা এক অদ্ভুত মাদকতাময় সৌরভে(রাগ করোনা) বুঁদ হয়ে ছিলাম। তাই বসার সময় সরাসরি সেই ঝিমঝিম আবেশে ডুব দেয়ার বাসনায় তোমার কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে রইলাম। তোমার অবাধ্য চুলগুলো আমার মুখের সাথে মিতালিতে মেতে উঠলো। চোখ খুললেই যদি স্বপ্নরা হারিয়ে যায় সেই ভয়ে,,,, গুলশিরিন! গুলশিরিন! গুলশিরিন! আমার গুলকে আমি যতোখুশি ডেকে যাব।বলতে পার গুল, এই আবেগের জন্ম কোথায়?


লেখক : হাতিয়ারই সন্তান ,জন্ম – ২৪/১২/৭৮ খ্রি:। তাঁর বাবা  মাহতাব উদ্দিন আহমেদ মিলন (ম্যানেজার সোনালী ব্যাংক), ড্যাডি আবু ইউসুফ হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ বেলাল (অবসরপ্রাপ্ত জয়েন্ট সেক্রেটারি) ।  তিনি ইডেন কলেজ থেকে গণিতে অনার্স, মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় গৃহিনী হিসেবে বসবাস করছেন। তাঁর লেখা ”একটি সাধারণ মেয়ের আত্মকথন” উপন্যাস বইটি পাঠকের কাছে খুবই সমাদৃত হয়েছে ।  এটি তাঁর দ্বিতীয়  গল্প। বইগুলো ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলায় ৩১৩ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ০১৮১৭৫৭৯২৯৪ নম্বরে যোগাযোগ করেও কুরিয়ারের মাধ্যমে নিতে পারেন।


লঞ্চ মালিকদের অতি লোভে দুর্ভোগের শিকার হাতিয়ার যাত্রীরা

যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা, ইয়াবাসহ প্রধান আসামি গ্রেফতার

পাতা কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু

হাতিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে কিছু করার নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্ত্রীর ওপর অভিমান করে প্রবাসীর আত্মহত্যা

‘খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এর হিসাব কড়া-গন্ডায় সরকারকে দিতে হবে’

হাতিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন ইউএনও

নোয়াখালীতে ওয়ান শুটার গানসহ ২ তরুণ গ্রেফতার

হাতিয়ায় বিদ্যুৎ ভবন উদ্বোধন করলেন স্থানীয় এমপি

হাতিয়ায় স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

হাতিয়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

পকেটে মিলল গুলি, শয়ন কক্ষে ওয়ান শুটারগান, গ্রেফতার ৩

আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই : মির্জা ফখরুল

এই সম্পর্কিত আরো